পূর্বাহ্ণে গৃহীত পরিকল্পনানুযায়ী আমাকে চারটি বিচ্ছিন্ন টুকরোয় বিভাজিত করা হলো, যার প্রতিটিই স্বয়ংসম্পূর্ণ, তারপর আমার আত্মাকে বলা হলো--- এর যেকোনোটিতে ঢুকে পড়, প্রত্যাশা পূর্ণ হবে...
আদিষ্ট হয়েই আমার আত্মা প্রথমে শিরের কাছে গেল, যা মস্তিষ্ক ধারণ করে ও জ্ঞানচর্চায় ভূমিকা রাখে--- ফিরে আসতে হলো, কারণ জ্ঞান অল্পজ্ঞানীকে অসহিষ্ণু করে তোলে ও তার কামাগ্রহকে নিরুৎসাহিত করে
আত্মা বক্ষের কাছে গেল, যা মন ধারণ করে ও ভালোবাসার দেয়া-নেয়া করে--- পিছিয়ে আসতে হলো, কারণ অশরীরী প্রেম সর্বত্র প্রশ্রয় পেলেও তা রীতিমত যাতনা-উৎপাদী
এবার উদরের কাছে যেতে হলো, যা ভোগ গ্রহণ করে ও তার সারাৎসার বণ্টন করে--- বিরূপ হতে হলো, কারণ স্থুল ভোগাকাঙ্ক্ষাই মানুষে-মানুষে হানাহানির সূচক
সবশেষে কামেন্দ্রিয়ের কাছে যাওয়া, যা অনুভূতি ধারণ করে এবং খায় কিন্তু হজম করতে পারে না--- ফিরতে উদ্যত হয়েও অব্যাখ্যাত এক অন্তর্গত টানে এখানে দাঁড়িয়ে থাকা, সম্ভবত মানুষের শরীরী প্রেমাকাঙ্ক্ষা অফুরন্ত বলে, এ বিষয়ক সদ্জবাবে সকলের কণ্ঠেই দশাসই অতৃপ্তি ঝঙ্কৃত হয়
No comments:
Post a Comment